no images were found
Category Archives: Uncategorized
4.jpg
no images were found
Case Story
no images were found
এক কিশোরীর সাফল্যগাঁথা
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার মধ্য উড়িয়া গ্রামের ১৩ বছর বয়সী কিশোরী কমলা আক্তার ৭ম শ্রেণিতে পড়া-লেখা করছে কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বর্তমানে স্কুল বন্ধ। সময় কাটে বাড়িতে পড়াশুনা আর গণ উন্নয়ন কেন্দ্র(GUK) কর্তৃক বাস্তবায়িত SEEDS প্রকল্পের মাধ্যমে গড়ে ওঠা মধ্য উড়িয়া সংলাপ সেন্টারে কিশোরীদের বিনোদন ও জীবন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।
এই সংলাপ সেন্টারটি যেন এখন তার সবকিছু। প্রতিদিন এখানে এসে সময় পার করে পাড়ার অন্য সমবয়সী কিশোরীদের সাথে শিক্ষনীয় আড্ডায়। তবে, এখান থেকেই ধারনা পায় পড়ালেখার পাশাপাশি কিভাবে পরিবারে আয়মূখী কাজে সহযোগিতা করা যায়। সংলাপ সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় ৪টি পেঁপের গাছ রোপন করে সে। স্থানীয় কমিউনিটি সার্ভিস প্রোভাইডার-কৃষি সেবাদানকারী একজনের কাছে অধিক ফলনে পরামর্শ নেয়। নিয়মিত পরিচর্যায় পেঁপে গাছে বেশ ভাল ফলন পায় সে। বন্যা ও করোনার মধ্যে চার ভাই-বোন বাবা-মাসহ নিয়মিতভাবে পেঁপে সবজি হিসাবে খেয়েও ইতোমধ্যে ৩শ২০ কেজি পেঁপে বিক্রি করেছে। এতে করে সে ৮ হাজার টাকা আয় করে পরিবারে সহযোগিতা করেছে। এখনও যে পরিমান পেঁপে আছে, তাতে আরো অন্ততপক্ষে ১০ হাজার টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবে।
কমলা আক্তারের এমন উদ্যোগে বেশ খুশি পরিবারের অন্য সদস্যরাও। আর করোনা সংকটে ক্ষুদ্র উদ্যোগে অর্থ উর্পাজনে বেশ সাঁড়া পড়ে কমলার সহপাঠীদের মধ্যেও। কমলার বাবা আব্দুল কুদ্দুস জানান, মেয়ের এমন উদ্যোগে আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। বাড়ির পাশে পড়ে থাকা জায়গা কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করা যায় তা কমলার কাছ থেকেই শিখলাম বলে জানান তিনি।
==============================================================
শূন্য থেকে সাফল্যে
রৌমারী উপজেলার ৩ নং বন্দবেড় ইউনিয়নের বাইশপাড়া গ্রামটির পূর্ব থেকে পশ্চিমে রয়েছে সোনাভরি নদী যার উত্তর থেকে পশ্চিমে বয়ে চলছে ব্রক্ষ্মপূত্র নদ । চারিদিক বেষ্টিত নদীর এক কোনে অবস্থিত বাইশ পাড়া গ্রাম এই গ্রামে বাস করেন মোছাঃ আমিনা বেগম । ১৯৯৯ সালে আমিনা বেগমের বিবাহ হয় বাইশ পাড়া গ্রামের দিন মজুর আয়নাল হকের সাথে। আমিনা বেগম দুই কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান ও স্বামী নিয়ে কখনও দুবেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে না খেয়ে, অনাহারে অর্ধাহারে কোনরুপ জীবন যাপন করত। এরই মাঝে ২০১৪ সালে গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (GUK)দাতা সংস্থা OXFAM সহায়তায় Resilience through Economic Empowerment, Climate Adaptation, Leadership and Learning- REE-CALL-2021 প্রকল্পের কার্যক্রমে বাইশ পাড়া গ্রামে CBO এর একজন কার্যকরী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। বিভিন্ন প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহন করেন, বিশেষ করে গবাদী পশু পালনের প্রশিক্ষন পেয়ে আমিনা বেগম সংকর জাতের গাভী পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। সার্বিক সহায়তায় একটি সংকর জাতের গাভী বাছুর সহ ক্রয় আমিনা বেগমকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না । দুই মেয়েকে ভালো পরিবারে বিবাহ দেন। ছোট ছেলেটিও লেখাপড়া করছে। আমিনা বেগমের গোয়াল ঘর গাভিতে ভরে যায়। আমিনা বেগম দুইটি ষাড় গরু বিক্রি করেন ১৮০,০০০/= টাকায়। সেই টাকা দিয়ে ১ বিঘা জমি বন্ধক নেন। এবছর দুইটি গাভি বিক্রি করেন ২৮৩,০০০/= টাকায়। তা দিয়ে আবারো ১.৫ বিঘা জমি বন্ধক নেন। ১ বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করেন, তার গোয়ালে এখন ৩ টি গাভি ও ৩ টি বাছুর আছে। তিনি এখন গড়ে ৩৫ লিটার দুধ বিক্রি করেন এবং প্রতি মাসে ৪০,০০০-৫০,০০০ টাকা আয় করছেন।
গ্রামে আমিনা বেগম একজন মডেল খামারী। অনেক উৎপাদক দলের সদস্য তার কাছে গাভীর বিভিন্ন রোগ ব্যাধির বিষয়ে পরামর্শ নেন। আমিনা বেগমের পরিবারে আর কোন দুঃখ নাই। তারা সুখে শান্তিতে জীবিকা নির্বাহ করছে। আমিনা বেগম ভবিষ্যতে একজন সফল খামারি হতে চান।
==============================================================
ভাগ্য বদলের দ্বারপ্রান্তে হেনা বেগম
গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হেনা বেগম। হেনা বেগমের বয়স যখন ১৬ বছর তখন দিনমজুর ইমরুলের সাথে তার বিয়ে হয়। দিনমজুর ইমরুলের সাথে বিয়ের পর হেনা বেগমের দিন সুখেই কাটছিল, এরই মধ্যে হেনা বেগমের ০৩ ছেলে ও ০১ মেয়ে হয়। হঠাৎ একদিন তার ম্বামী হার্ট এটাক করে মারা যান, তখন হেনা বেগমের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।হেনা বেগম এক বুক আশা নিয়ে জানুয়ারি ১২ ,২০২০ তারিখে ভরতখালী ইউনিয়নের একজন স্বপ্ন কর্মী হিসাবে কাজে যোগদান করেন। স্বপ্ন প্রকল্প থেকে হেনা বেগম জীবন দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ০৭ টি প্রশিক্ষণ পেয়ে মুদি দোকান দেয় এবং সুপারির নার্সারি করে । বর্তমানে হেনা বেগম মজুরির পাশাপাশি মুদি দোকান ও নার্সারি থেকে দৈনিক ১৫০-২০০ টাকা আয় করছেন। হেনা বেগমের স্বপ্ন মুদির দোকানটিকে আরও বড় করবে এবং সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে তুলবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন“Strengthening Women’s Ability for Productive New Opportunities (SWAPNO)” শীর্ষক প্রকল্পটি Marico, Sewden SIDA এবং UNDP এর সহায়তায় জেলার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার (ফুলছড়িতে ৭ টি ও সাঘাটায় ১০ টি) ১৭ টি ইউনিয়নের মোট ৬১২ জন উপকারভোগীর আর্থ- সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গণ উন্নয়ন (GUK) সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে।